আমের ‘জুসে’ আম নেই তাহলে এটা জুস হয়?



নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের দক্ষিণ সানারপাড় এলাকায় একটি অবৈধ কারখানায় অভিযান চালিয়েছে র‍্যাব-১০ ও বিএসটিআই। নির্বাহী হাকিম সারওয়ার আলমের নেতৃত্বে সোমবার এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। কারখানায় বিএসটিআইয়ের অনুমতি ছাড়া বোতলজাত জুসসহ বিভিন্ন খাদ্যপণ্য তৈরি হতো। ‘জুস’ তৈরিতে কোনো ফল বা ফলের নির্যাস ব্যবহার করা হতো না। পরীক্ষাগার ছাড়া অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে এসব পণ্য উৎপাদন হতো। ভ্রাম্যমাণ আদালত এসব পণ্য তৈরির সঙ্গে জড়িত সাতজনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেন। ছয় লাখ টাকা জরিমানা করে কারখানাটি সিলগালা করে দেওয়া হয়।

প্রিয় র‍্যাব ও বিএসটিআই - এর সম্মানীয় ভাইয়েরা, অসংখ্য ধন্যবাদ এ ধরনের একটা অভিযান পরিচালোনা করার জন্য। ভাই, আপনারা কি সত্যিই বিশ্বাস করেন আপনাদের অভিযানের পর এই কোম্পানী এধরনের অপকর্ম বন্ধ করে দিবে? তারা যখন এই ব্যবসায় নেমেছে তারা জেনেশুনেই নেমেছে যে আপনারা মাঝে মাঝে তাদের কারখানায় হানা দিবেন, মিডিয়া কভারেজ দিবে আর আমারা আম জনতা অভিশাপ দিয়ে কিছু কমেন্ট করবো আর ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিবো "এতো দিন এই খাচ্ছিলাম?" ভাইরে, এই জুসের কারবারিরা ভালো করেই জানে আজ হই চই হচ্ছে, দু'দিন পর আবার যেই কে সেই। সিল গালা খুলতে কারখানার মালিকে না হয় কয়েক দিন ঘুরতে হবে। ৬ লাখ টাকা জরিমানা কি এদের কাছে বড় কিছু? ভাই বিশ্বাস করেন, এই ছয় লাখ টাকা তার বিজনেস প্ল্যানে কস্ট হিসাবে আগেই যোগ করা আছে। আপনারা কাদের কারাদন্ড দিয়েছেন? এরা তো সামান্য কর্মচারী। মূল মালিকে টিকিটা কে ছুবে? ভাই, আপনাদের দোষ দিচ্ছি না, আমাদের আইনটাই গোলমেলে। লক্ষ কোটি টাকার অবৈধ ব্যবসা করে মানুষের স্বাস্থ্যকে (বিশেষ করে বাচ্চাদের) ঝুঁকির মুখে ফেলে মাত্র ৬ লক্ষ টাকা দিয়ে যদি পার পাওয়া যায়, তাহলে মেঙ্গো জুসে সত্যিকারে মেঙ্গোর উপস্থিতি আশা করাটাই আমাদের অন্যায়।